সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় স্কুলশিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের চুপুড়িয়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্ধ্যায় অভিযুক্ত কুতুবুদ্দিন সরদারকে (৬০) আটক করে সাতক্ষীরা সদর থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। নিহত স্কুলছাত্রীর নাম সানজিদা পারভিন কুহেলি (১৬)। বাবার নাম কবির হোসেন।
ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলন জানান, শনিবার সকালে চুপুড়িয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর মেয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সে স্থানীয় সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম পরিবারের বরাতে সাংবাদিকদের জানান, ‘স্থানীয় চুপুড়িয়া গ্রামের মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে কুতুবুদ্দিন সরদার ফাঁদে ফেলে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কৌশলে সেই শিক্ষার্থীকে বারবার ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে।
পরিবার শিক্ষার্থীর বিয়ের ব্যবস্থা করলেও কুতুব ওই পাত্রের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে বিয়ে না করতে এবং তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রাখতে চাপ প্রয়োগ করলে সকালে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। নিহতের মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুতুবকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়েছে।
শিক্ষার্থীর ফুফু শিরিনা খাতুন জানান, এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মা হারানো প্রবাসী বাবার স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যুতে তিনি দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।