প্রেমিকাকে গলা টিপে হত্যা করার পর তিন দিন মরদেহের পাশেই বসে ছিলেন প্রেমিক। তার বিশ্বাস ছিলো, এক সময় জেগে উঠবেন প্রেমিকা। কৃতকর্মের জন্য চাইবেন ক্ষমা। অনেক অপেক্ষার পরও যখন প্রেমিকা জেগে উঠলো না, তখন পালালো প্রেমিক। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জানিয়ে দেয়, ওই নারী স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু এই ঘটনার এক মাস পরই ঘটে আসল ঘটনা। শুধু প্রেমিকাই নয়, প্রেমিকার মাকেও খুন করতে চেয়েছিলেন সেই অভিযুক্ত। কিন্তু ব্যর্থ হওয়াতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা।
গেলো ৬ সেপ্টেম্বর ওই অজ্ঞাত পরিচয় সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের জয়নভিল শহরে।
মারিয়া নাজারেথ ভার্গাস নামে ৫৯ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু হয়েছিলো তিন মাস আগে, গত জুনে। সেই সময় সন্দেহভাজন ও মারিয়া একই বাড়িতে থাকতেন।
একদিন হঠাৎ করেই মারিয়ার পরিবারকে সে জানায়, তার মৃত্যু ঘটেছে। এরপরই ওই বাড়ি, এমনকি ওই এলাকা ছেড়েই চলে যায় সন্দেহভাজন প্রেমিক।
পুলিশ তদন্ত করলেও মারিয়ার মৃত্যুর আসল কারণ তখন জানা যায়নি। দুঃখজনকভাবে মারিয়া ভার্গাসের মৃত্যু, একটি স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে নথিভুক্ত করেছিল পুলিশ।
তবে মারিয়ার মা অভিযোগ করতে থাকেন, তার মেয়ে খুনের শিকার। এমন পর্যায়ে প্রায় এক মাস পর সেই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ফিরে এসে মারিয়ার মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
একদিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি মারিয়ার মায়ের বাড়িতে হানা দেয়। তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সেই সঙ্গে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে।
এরপর পুলিশের সন্দেহ হয় মারিয়াকর মৃত্যুর পেছনে তার হাত আছে। শুরু হয় তদন্ত। বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পারে, মারিয়াকে শ্বাসরোধেই হত্যা করা হয়।
ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ছবি পরীক্ষা করে দেখা যায়, এক শনিবার ওই ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকেছিল। এরপর টানা তিন দিন সে বাড়ি থেকে বের হয়নি।
তিনদিন পর বাড়ি থেকে বেরিয়েই মারিয়ার মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিল সে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে সেই সন্দেহভাজন ব্যক্তি।