মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে প্রাথমিকের বৃত্তির ফল। এ উপলক্ষে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো: জাকির হোসেন।
সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালন্টেপুল বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী। যা পূর্বে ছিল ২২ হাজার। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাবে ৪৯ হাজার ৫০০ জন, যা আগে ছিল ৩৩ হাজার।
এবার মোট ৮২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এই বৃত্তি পাবে। উপজেলা ও থানা পর্যায়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি বণ্টন করা হয়। ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিতে সাধারণ বৃত্তি বণ্টন করা হয়।
এ বছর সাধারণ গ্রেডে বৃত্তির ক্ষেত্রে আট হাজার ১৪৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ওযার্ডের প্রতিটিতে ছয়জন (তিনজন ছাত্র ও তিনজন ছাত্রী) করে মোট ৪৮ হাজার ৮৭০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৬৩০টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলা ও থানায় একটি করে মোট ৫১৩টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হবে।
যেভাবে ফল জানবেন:
বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।
যেভাবে ফল জানবেন:
বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট , স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।
এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানতে: DPE <Thana / Upazila Code No.><Roll Number><Year> Send to 16222
২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে প্রাথমকি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্ত: মন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল হতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
৫ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় চার লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মোট নম্বর ছিল ১০০ ও সময় ছিল ২ ঘণ্টা।