আপনার পরিচিতি এবং পরিচালনায় আসার পেছনের গল্প কি?
আমি আরিফুর রহমান কাকন। পরিচালক, জীবনে ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়ার কিন্তু হয়ে গেছি ডিরেক্টর।
ডাক্তার ডিরেক্টর খুব কাছাকাছি ডি দিয়েই শুরু। ডাক্তার যেমন একজন রোগীকে তার সেবা এবং সুশ্রূষা এবং ওষুধের মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন, তেমনি একজন ডিরেক্টার একটা প্রজেক্টকে তার সন্তানের মত লালন পালন করে সেবা সুশ্রূষার মাধ্যমে একটা টোটাল প্রজেক্ট কে লালন পালন করে সে একটা কনটেন্ট এর রূপ দেয়।
পরিচালক হওয়ার উদ্দেশ্য একটাই বাংলাদেশকে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা সারা পৃথিবীর কাছে স্বনামধন্য করে তোলা পুরো পৃথিবীর কাছে উপস্থাপন করা।
বাংলাদেশের আসলে অনেক ডিরেক্টর যারা টিভিসি নির্মাণ করেন তাদের কাজগুলো খুবই সুন্দর হয় তাদের কাজগুলো দেখার পর আসলে নিজের মধ্যে একটি ভালোলাগা সৃষ্টি হয় যে আমি টিভিসি বানাবো।
আপনার সাম্প্রতিক টিভিসিটি নির্মাণ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
– টিভিসির ধারণা বা গল্প কিভাবে তৈরি হয়েছিল?
– এই টিভিসিতে আপনি নতুন কি নতুনত্ব এনেছেন?
সাম্প্রতিক টিভিসি নির্মাণের ক্ষেত্রে এক্সপেরিয়েন্সটা খুবই ভালো ছিল আমাদের যারা আর্টিস্ট ছিলেন শামীম হোসেন সরকার সামন্ত পারভেজ বাকি যারা ছিলেন তারা খুবই হেল্পফুল এবং আমার যে মানে টোটাল টিমটা ছিল এবং ক্যামেরা টিম লাইটের টিম ক্রু এবং প্রোডাকশন যারা খুবই হেল্পফুল ছিল সো আমাদের টিভিসি করতে গিয়ে খুব ভালোভাবে আমরা আসলে কাজটা করতে পারছি। টিভিসি নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের গল্পটা এটা তৈরি হয়েছিল বাসায় বসেই আমি কফি খেতে খেতে আমার সামনে কাপটা রেখে চিন্তা করছিলাম কিভাবে কি করব ঠিক তখন বিভিন্ন প্লট মাথায় আসে ওই প্লট থেকে আসলে দুইটা প্লট সিলেক্ট করা হয়।
এই টিভিসিতে নতুনত্ব নিয়ে আসার মধ্যে যেটা এনেছি সেটা হচ্ছে একটা ডিফারেন্ট টাইপসের প্রপোজাল ডিফারেন্ট টাইপসের একটা ভালোবাসার ফ্লেভার নিয়ে এসেছি গল্পটার মধ্যে সো আশা করতেছি সবারই খুব ভালো লাগবে এবং দর্শকরাও উপভোগ করবেন।
এই টিভিসি নির্মাণ করতে গিয়ে কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন?
– টিভিসিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী? দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
প্রতিটা কাজই একজন ডিরেক্টরের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ বিকজ প্রতিটা কাজে ডিরেক্টর এর কাছে তার সন্তানের মত একসেপ্ট নিয়ে মানে একসেপ্ট করেই আসলে করতে হয় তো এটাও একটা চ্যালেঞ্জ দিছিল ইনশাআল্লাহ আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা মোটামুটি সাকসেসফুল হয়েছি।
পিভিসি নিয়ে আমার প্রত্যাশা যদি বলি সে ক্ষেত্রে যেটা মনে হয়েছে যে আমি কাজ করার সময় হিসেবে যে প্রপোজাল সিস্টেমটা এবং যেটা আসলে করেছি সেটা আসলে মানুষের কাছে একটা ট্রেন্ড হয়ে যাবে আমার ভালোবাসা কাজ করবে এবং খুব দর্শকরা এটা পছন্দ করবে আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া এখন আসলে জানিনা কেমন পাবো তবে আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালোই পাব আশা আছে।
ভবিষ্যতে কোন ধরনের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে?
– সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী কি? যদি থাকেন, তাহলে কেমন সিনেমা বানাতে চান?
ভবিষ্যতে কিছু টিভিসি এর জন্য কাজ চলতেছে তার পাশাপাশি সিঙ্গেল কিছু নাটক এবং তার পাশাপাশি সিরিয়াল এবং কথা চলছে
সিনেমা বানানো তো আসলে ডিরেক্টরের কাছে একটা ড্রিম থাকে আসলে সিনেমা তৈরি করা আছে ইনশাআল্লাহ করব সেক্ষেত্রে কমার্শিয়াল সিনেমাটাই করবো যাতে দর্শকদের পছন্দ হয়। দর্শকদের মন অনুযায়ী আসলে কাজগুলো করব এবং আশা করছি সবার অনেক ভালো লাগবে।
এই ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার আইডল কে? – নতুন প্রজন্মের পরিচালক বা নির্মাতাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার আইডল বলতে আসলে কাউকে এভাবে আসলে হিসেবে দেখিনি কিন্তু সবাইকে সম্মান করি সবার কাজে অনেক ভালো লাগে। সবার কাজই খুব খুব চমৎকার হয়। আমি চেষ্টা করছি কিছু করার ইনশাল্লাহ।
নতুন প্রজন্মের পরিচালকের কাছে এতোটুকুই আসলে চাইবো যে তারা যেন এই যে কনটেন্ট গুলো তৈরি করা হয় এইগুলো এমন ভাবে তৈরি করে যাতে দেশের বাইরে তারা রিপ্রেসেন্ট করতে পারে এবং বাংলাদেশের অরিজিনাল সংস্কৃতি এবং সুস্থ থাকে আসলে প্রেজেন্ট করতে পারে কোন খারাপ কিছু নাই বাংলার বাঙালির ঐতিহ্যকে আসলে সামনে তুলে ধরতে পারে বাঙালির গল্পগুলোতে জীবন ধারাগুলোকে সামনে তুলে ধরতে পারে সেটার চেষ্টায় করবে নতুনত্ব নিয়ে আসবে ভালো কিছু করবে এটাই।