কুষ্টিয়ার খোকসায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বাড়ছে। এই পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষক। মসলাজাতীয় ফসল পেঁয়াজ চাষে ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্য চাকা। পেঁয়াজ চাষে কৃষককে সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি-নির্ভরতা কমাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিনা মূল্যে সার, বীজ, পরিচর্যার জন্য অর্থসহায়তা, বালাইনাশকসহ যাবতীয় উপকরণ দেওয়া হয়েছে চাষিদের।
চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সাফল্যতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া-০৪ আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ।
উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের ইচলাট গ্রামের কৃষক অরবিন্দ ঘোষ অনেক ভালো ফলনের আশায় তার ৩৩ শতাংশ পরিত্যাক্ত জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ শুরু করেন। কৃষি অফিসের সহায়তায় চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলা তৈরি করেন তিনি। তিনি বলেন, বিনা মূল্যে বীজ ও সারসহ অন্যান্য উপকরণ পেয়েছি। ক্ষেতের পেঁয়াজ অনেক সুন্দর হয়েছে। কৃষি দপ্তরের লোকজন সব সময় পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করছি ভালো ফলন পাব।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের প্রণোদনাসহ করণীয় নির্ধারণ করে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানালেন খোকসার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা। তিনি বলেন, আমি নিজেও প্রতিদিন কোন না কোন পেঁয়াজ ক্ষেত পরিদর্শন করছি এবং কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি পেঁয়াজের ফলন ভালো হবে এবং কৃষক লাভবান হবে।