প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে পেলেন ৫ উইকেট। এরপর বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে দল যখন ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তুপে, লিটন দাসের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটি গড়ার পথে তাঁর ব্যাট থেকে এল ৭৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
লিটন দাস, হাসান মাহমুদের পাশাপাশি রাওয়ালপিন্ডিতে আজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ৬ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার দাবিদার তো মেহেদি হাসান মিরাজও। এর সঙ্গে প্রথম টেস্টের পারফরম্যান্সও যোগ করে নিন – প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানের পর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ধসিয়ে দেওয়ার পথে ২১ রানে ৪ উইকেট। সিরিজসেরা হওয়ার দাবিদার শুধুই এই ‘পরিপূর্ণ’ অলরাউন্ডার মিরাজ।
পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে আজ যখন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ, মিরাজেরও একটা ব্যক্তিগত কীর্তি হয়ে গেছে। ৪৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার দেশের বাইরে কোনো সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন তিনি। পারফরম্যান্সে মন ভরানো মিরাজ পুরস্কার পাওয়ার পরও এক ঘোষণায় হৃদয় জিতে নিয়েছেন। পুরস্কারটা গত জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনের সময়ে নিহত এক রিকশাচালকের পরিবারকে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
‘আলহামদুলিল্লাহ, এই প্রথম বিদেশে কোনো সিরিজে সিরিজসেরা হলাম। সবাই জানেন আমাদের দেশ সম্প্রতি একটা সংকটের মধ্য দিয়ে গেছে। আমি ম্যান অব দ্য সিরিজের এই পুরস্কারটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ওই সময়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি উৎসর্গ করতে চাই। একজন রিকশাচালক ছিলেন যিনি আহত হয়েছিলেন, পরে মারা গেছেন, আমি এই পুরস্কারটা তাঁদের উপহার দিতে চাই’ – পুরস্কার পাওয়ার পর বলেছেন মিরাজ।
পুরস্কারের অঙ্কটা ৫ লাখ পাকিস্তানি রূপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা।