নারীদের জন্য আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে তালেবান। হিজাব না পরার কারণ দেখিয়ে দেশি-বিদেশি এনজিওতে নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধ করেছে তারা।
এই নির্দেশ লঙ্ঘন করা হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেয়া হয়েছে। তালেবানের এই নির্দেশকে মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন জানিয়ে নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।
বছর দেড়েক আগে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি অনুষ্ঠানে খোলা গলায় গান গেয়েছিলো আফগান মেয়েরা। তালেবান খমতায় আসতেই পরিস্থিতি এখন সমপূর্ণ ভিন্ন।
সম্প্রতি দেশটির নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। এমন সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। ইরান জুড়ে চলছে বিক্ষোভ।
এর মধ্যেই এনজিওতে কাজ না করার নির্দেশনা আসলো। তালেবান এ নির্দেশের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে বলছে, এনজিও কর্মীরা হিজাব না পরে ইসলামী শরিয়ার পোশাকের আইন ভঙ্গ করছে।
তালেবানের ওই নির্দেশ দেশি-বিদেশি সব এনজিওর জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই নির্দেশের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের উপ বিশেষ প্রতিনিধি ও মানবিক সমন্বয়কারী রমিজ আলাকবারভ বলেন, এটা মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলোর গুরুতর লঙ্ঘন।
তালেবান সরকারের সমালোচনা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই সিদ্ধান্ত আফগান জনগণের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে।
এদিকে, তালেবানের এই ঘোষণার পর, তিনটি প্রধান আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল এবং কেয়ার জানিয়েছে, নারীদের ছাড়া তারা আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
গত বছর আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখল করার সময় যদিও তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, নব্বুইয়ের দশকের তুলনায় এবার তাদের শাসন অনেক নমনীয় হবে, তারপরেও তারা একের পর এক নারী অধিকার খর্ব করে চলেছে।