সমস্যা হলো আওয়ামীলীগ অক্টোপাস এর মতো! তার এক হাত কাটলে আরেক হাত জেগে উঠে! দেখেন, ১৯৭৫ এ স্বপরিবারে শেখ মুজীব হত্যাকান্ড ও ৩ নভেম্বর ৪ নেতা হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আওয়ামীলীগ কে চিরতরে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো! কিন্ত ঘটলো উল্টো।
বরং ওই কঠিন পরিস্থিতিতে যে কয়জন হাতেগোনা লোক আওয়ামীলীগ বা অঙ্গসংগঠন করেছিলো প্রত্যেকে পরবর্তিতে জাতীয় নেতা হয়েছিলো। উদাহরণস্বরুপ ওবায়দুল কাদের, নানকদের কথা বলা যায়।
২০০৪ এ কে বা কারা আওয়ামীলীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে এক বৈঠকে খেলা শেষ করতে চাইলো কিন্ত ফলাফল হলো উল্টো! আওয়ামীলীগ ৩০% ভোট কে ৬৫% বানিয়ে ক্ষমতায় চলে গেলো।
এখন আবার ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হয়তো আওয়ামীলীগের উপরও বিধি-নিষেধ আসবে, কিন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় হলো এতে আওয়ামীলীগ নতুন করে জেগে উঠতে পারে।
লক্ষ্য করে দেখবেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে জামায়াত এখন বেশি শক্তিশালী! এর কারণ কি কেউ জানেন? না ভাই, জামায়াত কোনো গায়েবী শক্তি পায়নি বরং তারা আওয়ামী সরকার এর প্রতিটি আঘাতে আঘাতে লোহার ন্যায় শক্ত হয়েছে! আওয়ামী কর্তৃক নিষিদ্ধ জামায়াত এখন ক্ষমতার একদমই নিকটে।
বাস্তবতা হলো দুঃসময় শক্তিশালী মানুষ তৈরি করে। ঝড় হলে দুর্বল গাছপালা উড়ে গিয়ে মাঠ খালি করে। সেখানে সূর্যের পর্যাপ্ত আলোতে শক্তিশালী গাছ বেড়ে উঠে।
-শিবলী মাহাদী ,লেখক ও কলামিষ্ট