পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বাদশা মিয়া হত্যা মামলার এজাহারভক্ত দুই পলাতক আসামিকে র্যাবের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানার মাটিকাটা বালুরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-১৩ ও র্যাব-১৪ এর যৌথ দল।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার নাটোকটোকা (ডাকুয়াপাড়া) এলাকার হাফিজ উদ্দিনের দুই ছেলে রুহুল আমিন (৩০) ও রবিন ইসলাম (২৫)।
র্যাব-১৩ ও দেবীগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, ঘটনার দিন (১৫ জুন) বাদশা মিয়া তার বাড়ির আঙিনায় বাঁশের বেড়া বসাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী রুহুল আমিন, রবিন ইসলাম, হাফিজ উদ্দিন, রুবিনা বেগম এবং আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা ধারালো বাঁশিলা, লোহার খোচা ও লাঠি দিয়ে বাদশা মিয়াসহ পরিবারের সদস্যদের হামলা করে। এতে বাদশা মিয়ার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে বাদীর ছোট ভাই সুলতান আলীর মেরুদণ্ড ভেঙে যায়, অপর ভাই সমশের আলী, ভাবি লিপি বেগম ও মা শেফালী বেগমও গুরুতর জখম হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সইজ উদ্দিন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকা দুই আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৩, সিপিসি-২ নীলফামারী ক্যাম্প ও র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের যৌথ টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃতদের দেবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব-১৩।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, র্যাবের সহযোগিতায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।