বর্তমান সময়ের সেরা মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন। অসাধারণ, অনবদ্য, অবিস্মরণীয়, অবিশ্বাস্য যত উপমাই দেয়া হোক না কেনো সব উপমাই তার কাছে কম হয়ে যায়।
ফুটবল আইকিউ তে ব্রুইনার চেয়ে সেরা কোনো খেলোয়াড় ইতিহাসে ছিল কি না তা নিয়ে তর্ক হতেই পারে কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তার চেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত কেউ যে ছিল না তা মোটামুটি বলাই যায়।
তিনি গোল করেন, গোল করান, পুরো মাঠকে দেখেন কম্পিউটার এর প্রোগ্রামের মত। কি করলে কি হবে, কোন প্লেয়ার টা কোথায় দাঁড়ানো, কাকে বল দিলে গোল থ্রেট তৈরি হবে সব যেনো তার ব্রেইনে আগে থেকে সেট করা। মাঝে মধ্যে মনে হয় তার যেনো মাথার পেছনেও দুইটা চোখ আছে।
সিজনের প্রথম লিগ ম্যাচে বার্নলির বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিংয়ের ইঞ্জুরি তে পরেন ব্রুইনা। প্রায় ৫ মাস ছিলেন মাঠের বাইরে। ১৪৯ দিন পর এফএ কাপের চ্যাম্পিয়নশিপ টিম হাডার্সফিল্ড টাউনের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় এসিস্ট করে নিজের ফর্মে ফেরার ঘোষণা করেন এই মিডফিল্ডার।
গত রাতে ব্রুইনা কে বেঞ্চে রেখেই লীগ টেবিলে ৩ নাম্বারে থাকা সিটি খেলতে নামেন বর্তমান আরেক পরাশক্তি নিউক্যাসেল এর ঘরের মাঠ সেইন্ট জেমস পার্কে। ৭ মিনিটেই ইঞ্জুরিতে মাঠ ছাড়েন সিটির প্রধান গোল রক্ষক ব্রাজিলিয়ান এডারসন মোয়ারেস। তবুও মাত্র ২৬ মিনিটেই লীড নেন সিটি।
কিন্তু ডিফেন্ডারদের ভুলে পরাপর দুই মিনিটের মাঝেই দুই গোল খেয়ে লীড হারায় গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। নিউক্যাসেলের হয়ে ৩৫ মিনিটে গোল করেন আলেকজান্ডার ইসাক ও ৩৭ মিনিটে চুড়ান্ত ফর্মে থাকা গর্ডন। ২-১ পিছিয়ে পরেই হাফ টাইমে যান ব্রুইনার দল সিটি।
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে মাঠে নামেন ব্রুইনা। পিছিয়ে থাকা দলের দায় যেনো একাই মাথায় নেন তিনি। মাঠে নামার মাত্র ৪ মিনিটেই ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এনে দেন সমতা। গল্প টা এখানেই শেষ হতে পারতো কিন্তু গল্পের যে তখন আনেক বাকি।
৯০ মিনিটে শেষ বাশী বাজার অল্প কিছুক্ষন আগেই মাঝ মাঠ থেকে এক চোখ ধাঁধানো পাস দেন ডিবক্সে থাকে অস্কার বব কে। আর সেই পাস থেকে গোল করেই বিজয়ের আনন্দ উপহার দেন নরইজিয়ান ইয়ংস্টার অস্কার বব। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ২য় অবস্থানে উঠে এসেছে সিটি। লিগ লিডার লিভারপুল থেকে ব্যবধান মাত্র ২ পয়ন্ট।
ম্যাচ শেষে পেপ গার্দিওলা ডি ব্রুইনা কে নিয়ে বলেন “ও যা করেছে তা কোনো টেকটিকস না, তা ওর ট্যালেন্ট”।