ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুর যাবতীয় খরচ ১৮ বছর পর্যন্ত রাষ্ট্রকে বহনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ সোমবার (১৮ ই জুলাই) ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে শিশুর যাবতীয় খরচ বহন এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
১৬ জুলাই ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় মারা গেছেন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী, তাঁর স্বামী ও মেয়ে। তবে, মারা যাওয়ার আগে অন্তঃসত্ত্বা নারীটির পেট থেকে (পেট ফেটে গিয়ে বা কেটে গিয়ে) সড়কেই ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে নবজাতক।
শুধু তাই নয়, অলৌকিকভাবে বেঁচেও গেছে নবজাতকটি। সদ্যপ্রসূত শিশুটিকে ময়মনসিংহ সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশালের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতেরা হলো—রত্না বেগম (৩২), তাঁর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাঁদের ছয় বছরের শিশু সন্তান সানজিদা। তাঁদের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার রায়মণি এলাকায়।
নিহত জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফ রব্বানী সাংবাদিকদের জানান, রত্না বেগম অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁর সন্তান প্রসবের তারিখ দুদিন পার হয়ে যাওয়ায় তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে আসেন। এরপর সেখান থেকে ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রত্না এবং তাঁর স্বামী-সন্তানের মৃত্যু হয়।
এরপর সেখান থেকে ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রত্না ও তার স্বামী-সন্তানের মৃত্যু হয়। তবে, এ সময় আঘাত পেয়ে রত্নার পেট থেকে (পেট ফেটে গিয়ে বা কেটে গিয়ে) নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হয়।
প্রতিবেশী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘পেট থেকে বাচ্চা বের হওয়ার খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে যাই। শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবজাতকটিকে।’ নবজাতক শিশুটি এখন সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।