দেশে বেশ কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা চলছে। গ্রীষ্মের এই তাপদাহে শরীরে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। এতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নানান সমস্যা দেখা দেয়। বাইরের তাপমাত্রা বাড়লে, শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে মাথা ঘোরা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, দুর্বলতা ইত্যাদি শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও দেখা যায়। যার চরম পর্যায় হিট স্ট্রোক।
হিট স্ট্রোকের ভয়াবহতা সম্পর্কে অনেকই সচেতন নয়। খুব অল্প সময়েই ঘটে যেতে পারে মারত্বক শারীরিক বিপর্যয়। দ্রুত সঠিক চিকিৎসা এবং প্রতিকার প্রয়োজন। হিট স্ট্রোকে অনেক সময় বড় ধরনের ক্ষতি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গরমের এই সময়টায় তাই সাবধানে থাকতে হবে।
প্রতিরোধের উপায়
১. গরমে ঢিলেঢালা হালকা রঙের সুতি কাপড় পরা।
২.যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে হবে। রোদে যাওয়ার সময় টুপি, ক্যাপ অথবা ছাতা ব্যবহার করা উচিত।
৩. প্রচুর পরিমাণ পানি বা খাওয়ার স্যালাইন অথবা ফলের রস পান করতে হবে।
৪. রোদে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি করা যাবে না। গ্রীষ্মে তীব্র ও দীর্ঘ শারীরিক পরিশ্রম অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
৫. উৎসবের কেনাকাটার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। সম্ভব হলে সন্ধ্যার পর সংক্ষিপ্ত পরিসরে কেনাকাটা করতে হবে। বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের বিপণিবিতানে না নেওয়াই ভালো।
৬. ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত চর্বি বা বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়া ভালো। এতে শরীরে তাপ জমা হয়। চা-কফি, অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে।
৭. চিকিৎসকের নিষেধ না থাকলে ইফতার থেকে সেহরিতে পর্যাপ্ত পানীয় পান করতে হবে।
চিকিৎসা
হিট স্ট্রোকের পূর্বলক্ষণগুলো দেখা দিলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. রোগীকে অপেক্ষাকৃত শীতল কোনো স্থানে নিয়ে যেতে হবে।
৩. ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে।
৪. ফ্যান ছেড়ে দিতে হবে বা বাতাস করতে হবে।
৫.প্রচুর পানি বা খাওয়ার স্যালাইন পান করতে হবে।
৬. কাঁধে-বগলে অথবা কুঁচকিতে বরফ দেওয়া যেতে পারে।
৭. অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।