জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে (ভিজিএফ) কর্মসূচির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি নির্ধারিত ১০ কেজির পরিবর্তে প্রতি কার্ডধারীকে দেওয়া হচ্ছে ৭ থেকে ৮ কেজি করে চাল। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ অনিয়মের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাগ অফিসার রবিউল ইসলাম উপস্থিত থাকলেও অনিয়ম ঠেকানো হয়নি। উপকারভোগীদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন তাদের নির্ধারিত চাল দেওয়া হচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা যায়, ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার না করে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা বালতি দিয়ে চাল মেপে দিচ্ছেন। এভাবে ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে চাল। পাশেই বসা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা কেউ কোনো প্রতিবাদ করছেন না।
উত্তর বালুরচর গ্রামের রাবেয়া বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার দুইটা কার্ড আছে। ২০ কেজি পাওয়ার কথা। কিন্তু হাতে দিয়েছে ১৫ কেজির মতো।’
আরেক উপকারভোগী বৃদ্ধা আজিরন বলেন, ‘রোজা রাখছি, রোদে দাঁড়ায়া চাল নিতে আইলাম। ১০ কেজি দেওনের কথা, দিছে কম। কী করুম, চুপ কইরা নিয়া গেলাম।’
এ সময় উপস্থিত কয়েকজন সুবিধাভোগী জানান, চালের মাপ না করে বালতি দিয়ে যেভাবে খুশি চাল দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, প্রতি কার্ডে দুই থেকে তিন কেজি করে কম দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, অনিয়মের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য ইস্রাফিল পরিষদ কার্যালয়ের ভেতরেই সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি মাত্র জানলাম। নির্ধারিত পরিমাণের কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’