জামালপুরে চানাচুর দেওয়ার প্রলোভনে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় জিয়াউল হক নামের একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. শহীদুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
কারাদণ্ড পাওয়া জিয়াউল হক জেলার মাদারগঞ্জে উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত নুরল মন্ডলের সন্তান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে মাদারগঞ্জ উপজেলার দিঘলকান্দি এলাকায় মনোহারী দোকানদার জিয়াউল হক চানাচুর দেওয়ার কথা বলে দোকানের পাশের একটি কক্ষে নিয়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় শিশুটির নানা মনির উদ্দিন বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হলে সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামির দোষ প্রমাণিত হয় এবং আদালত এ রায় দেন।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, “রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমার মেয়ের ধর্ষনের বিচার পেয়েছি। যদিও আমি চেয়েছিলাম ফাঁসি হোক, তবে আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতেও আমি খুশি।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল আমীন শামীম বলেন, “সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। রাষ্ট্রের পক্ষে আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট।”