জনতা ব্যাংকের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শাখার গ্রাহকদের কয়েক লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী আওলাদ হোসেন রঞ্জুর তিন দিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপাল কুমার অভিযুক্ত রঞ্জুকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শাহজাদপুর আমলি আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান।
এর আগে গত সোমবার (১০ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে গোপালগঞ্জ সদরের পূর্ব মিয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন রঞ্জু।
আওলাদ হোসেন রঞ্জু শাহজাদপুর পৌরসভার পাড়কোলা গ্রামের মৃত নুরুল আকন্দের ছেলে। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জনতা ব্যাংকের শাহজাদপুর শাখায় দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আওলাদ হোসেন রঞ্জু যে গ্রাহকদের এত টাকা আত্মসাৎ করল, সেই টাকাগুলো সে কি করল। আত্মসাৎ করার কী কী পন্থা ছিল। এছাড়াও এ ঘটনায় তার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা এ বিষয়গুলো জানার জন্যই তাকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জনতা ব্যাংকের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শাখার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আওলাদ হোসেন রঞ্জু গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাবি করেন প্রাথমিকভাবে ২২ লাখ টাকার মত সে আত্মসাৎ করেছে বলে তারা জানতে পেরেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ব্যাংকে ভিড় করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
এ ঘটনায় জনতা ব্যাংকের শাহজাদপুর শাখার ম্যানেজার জেহাদুল ইসলাম শাহজাদপুর থানায় ৬ জুলাই একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে ম্যানেজার জানতে পারেন যে, আওলাদ হোসেন রঞ্জু ২৫ জন গ্রাহকের প্রায় ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ঘটনায় ম্যানেজার জেহাদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১০ জুলাই শাহজাদপুর থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন।