প্রয়াত চিত্রনায়ক মিয়া ভাই খ্যাত আকবর হোসাইন পাঠান ফারুক চলচিত্র অঙ্গনের মুরব্বি ছিলেন৷ বাংলাদেশের চলচিত্রে তার অনেক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে৷ স্বভাবতই চলচিত্রের সকলেই তাকে অভিভাবক মনে করতেন।
অনেকেই ফারুক সাহেবকে অনেক উপমা দিতেন, কিংবদন্তী বলে সম্বোধন করা হতো তাকে। সর্বপরি তিনি একজন সার্বজনীন শ্রদ্ধেও ব্যক্তি ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় ফারুক সাহেবের সামনে কতো ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা তারা প্রকাশ করতেন। কতরকম প্রশংসা করা যায়, কতরকম সম্মান দেওয়া যায়! কোনোকিছুর কোনো কমতি রাখতেন না তারা। কারণ ফারুক সাহেব তখন জীবিত ছিলেন, এমপি ছিলেন, ক্ষমতা ছিলো।
কিন্তু চলচিত্রের লোকজন প্রমাণ করলেন তারা বাস্তব জীবনেও ফারুক ভাই এর সাথে ড্রামাই করেছিলো। তাদের দেখানো ভক্তি, শ্রদ্ধা সবই ছিলো লোকদেখানো স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা।
এবার তাহলে বলি কেনো এতোবড় কথা বললাম! নায়ক ফারুক চলচিত্রের কিংবদন্তী ছিলেন৷ এটা সত্য। কেউ তেল মেরে বললেও এটা চিরসত্য। তাহলে কিভাবে তার জানাযার দিন চলচিত্র,নাটকের কিছু লোক তার রেখে যাওয়া আসনে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করে!
কিভাবে তারা জানাযার ময়দানেও পরোক্ষভাবে নির্বাচনের প্রচার করে! এর অর্থ দাড়ায় যে তারা ফারুক ভাই এর মৃত্যুর অপেক্ষা করছিলো! তাই দুঃখ পাওয়া তো দূরের কথা বরং তারা খুশিই হয়েছে। সত্যিই বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অন্তত চলচিত্র পরিবারের লোকজনের নির্বাচনী প্রচারণা ফারুক সাহেবের মৃত্যুুর পর অন্তত ১৫ দিন বিরত থাকা উচিত ছিলো।
প্রয়াত ফারুক সাহেব এর মৃত্যুতে অন্তত তিনদিন চলচিত্রের সকল কাজ স্থগিত রাখা যেতো। একদিন এর শোকদিবস করা যেতো! তাকে নিয়ে শোকসভা করা যেতো, তার জীবনীর উপর আলোচনা সভার আয়োজন করা যেতো। কোনোকিছুই হয়নি কারণ তারা বুঝে গিয়েছে ফারুক সাহেবকে তাদের আর কোনো প্রয়োজন নেই। এটিই হয়তো রঙিন দুনিয়ার মানুষের রঙিন আচরণ!
এখন পর্যন্ত অভিনেতা সিদ্দীকও নায়ক ফেরদৌস প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে৷ আমি নিশ্চিত ঢাকা ১৭তে আরো ডজন খানেক অভিনেতা অভিনেত্রী নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করবেন! কারণ সকলেই নির্লোভ ভঙ্গিমাধারী অত্যন্ত লোভী! তারা নিজেকে ছাড়া কাউকেই ভালোবাসতে জানে না! এটি এখন স্বচ্ছ পানির মতো পরিষ্কার!