চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির বিষয়ে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে রাজধানীর শ্রম অধিদপ্তরে বৈঠক চলছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বৈঠকে মালিক এবং শ্রমিক প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। মজুরি বৃদ্ধি ও পুনঃনির্ধারণের বিষয়টিতে মধ্যস্থতা করেছেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী।
মজুরি বৃদ্ধি এবং পুনঃ নির্ধারণের বিষয়ে বিশ দফা দাবি দিয়েছেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে বড় দাবি শ্রমিকদের দৈনিক হাজিরা মজুরি ১২০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা করা।
যদিও মালিকরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো সম্ভব নয়। শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে তারা মজুরি মাত্র চৌদ্দ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, যা বর্তমান বাজারমূল্যে একটি ডিমের দামের চেয়েও কম।
দেশের ১৬৬টি চা বাগানে কাজ করা শ্রমিকদের ৫০ হাজার নিয়মিত হলেও বাকি প্রায় লাখখানেক শ্রমিকের চাকরি স্থায়ী নয়, ফলে এসব শ্রমিকরা সব রকম সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত।
যদিও মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের বাসস্থান এবং চিকিৎসা ছাড়া রেশনিংয়ের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ করা হয়।
এদিকে শ্রমিকরা বলছেন, এই টাকা পরিমাণে খুবই কম। তবে চিকিৎসা, বিদ্যুৎ এবং বাসস্থানের টাকা শ্রমিকদের মজুরী থেকেই সমন্বয় করে নেন মালিকরা।
আরও পড়ুন:শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে ম্যানেজিং কমিটি: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
উল্লেখ্য, শ্রমিক ধর্মঘটে ৯ দিন ধরে সারা দেশের বাগান থেকে চা পাতা উত্তোলন, কারখানায় প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের চা শিল্প।
দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে দেশের ২৪১ চা-বাগানে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। বর্তমানে তারা প্রতিদিন ২৩ কেজি চা পাতা উত্তোলন করে ১২০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন।