অতিরিক্ত চা-কফি পান, নিয়মিত লিপস্টিক ও লিপগ্লসের ব্যবহার, ঠোঁটের আর্দ্রতা কমে গেলে, ধূমপান ও অতিরিক্ত চা-কফি পানের অভ্যাস থাকলে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। যারা বেশি বেশি রোদে যান তাদের ঠোঁটেও কালচে দাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঠোঁটের দাগ দূর করার বাজারে বিভিন্ন ধরেনর ওষুধ স্ক্রাব পাওয়া যায়। তবে কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ উপায়ে ঘরে বসেই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায়। চলুন, জেনে নেওয়া যাওয়া যাক এ রকম কয়েকটি উপায় সম্পর্কে-
মধু: ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতেও মধু ভীষণ উপকারী। ঘুমোনোর আগে সামান্য মধু ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন সারা রাত। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঠোঁটের রঙে পার্থক্য চোখে পড়বে।
চিনি: প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসাবে চিনির কার্যকারিতাও কম নয়। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি মরা চামড়াও উঠে যাবে। ২ চামচ চিনি ও ৩ চামচ মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহে বার দুয়েক এই মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন।
লেবু: লেবুর রস খুব ভাল ব্লিচিং উপাদান। প্রতি দিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটে ভাল করে মালিশ করলে কালচে ভাব দূর হবে।
গোলাপজল: তুলার বল তৈরি করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ঠোঁটের দাগও দূর হবে।
শসার জুস: অর্ধেক শসা ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করে তুলার বল দিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। ২০-৩০ মিনিট পর তা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। শসার জুস আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ঠোঁটে সতেজ ভাব এনে দিতে পারে।
বিট: এক টুকরো নিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ঘষে নিনি। ১৫-২০ মিনিট পর ভালো করে তা ধুয়ে ফেলুন। বিটের রস ঠোঁটের পোড়া ও কালচে ভাব দূর করবে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সতেজতা এনে দিতে পারে এবং ত্বক সুস্থ রাখে।
ঘৃতকুমারী: ঘৃতকুমারীর জলীয় অংশ ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তা ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।
নারকেল তেল: আঙুলের মাথায় একটু নারকেল তেল নিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখুন। এতে যে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, তা ঠোঁট আর্দ্র ও সবল রাখে।