অনৈতিক কাজের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শরিফুল ইসলাম ও এক নারীকে এক গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য শরিফুল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ছোট গোঁজা গ্রামে অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্যে এক নারীর ঘরে ঢোকেন।
স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী ও শরিফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে এসে বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে সলঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উল্লাপাড়া উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আসাদ বিন রাহত খলিল জানান, শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শরিফুল ইসলাম ও অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে তিনি সলঙ্গা থানা পুলিশের সাথে কথা বলেন।
তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। পরে তিনি জানতে পেরেছেন তার পরিষদের পার্শ্ববর্তী এলাকার ইউপি সদস্য স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কিছু অর্থের বিনিময়ে সামাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করেছেন।
ইউপি প্রশাসক আরো জানান, যেভাবেই সামাজিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হোক না কেন, তিনি খতিয়ে দেখে ইউনিয়ন পরিষদের বিধি মোতাবেক ২-১ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মনোজ কুমার নন্দী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত শরিফুল ইসলামের ভিডিওটি দেখার পর সংশ্লিষ্ট ইউপি প্রশাসক ও স্থানীয় লোকজন তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। রাতেই তিনি তার পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও নারীকে গাছ থেকে ছাড়ান।
তিনি বলেন, এখনো কেউ শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি, করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।