নিজস্ব প্রতিবেদক,কুষ্টিয়াঃ
করোনার ঊর্ধ্বগতিতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে লকডাউনের তৃতীয় দিনে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে প্রশাসন । এছাড়া সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে মানুষের চলাচল বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে গত দুইদিন বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। তবে তৃতীয়দিনে এসে বৃষ্টি না থাকায় অনেককে নানা কাজে বাইরে বের হতে দেখা যায়। দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অনেককে শাটার বন্ধ করে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে।
দুপুর থেকে সেনাবাহিনীর ২১ পদাতিক ব্রিগেড যশোরের ১টি টিম শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে দেখা যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম খান বিভিন্ন স্থানে ১১টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শহর ও শহরতলীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখা, বিনা কারণে ঘোরাঘুরি করা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ( নিয়ন্ত্রন ও নিমূল) আইন ২০১৮এর ২৫(২)ধারায় ৭টি মামলায় ১২ জনকে ৫ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়।
এবং সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এসময় কুমারখালী পৌরসভার মেয়র মো. সামছুজ্জামান অরুন, থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার সহ বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কাঁচাবাজার স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা ব্যাটালিয়ন আনসার এবং থানা পুলিশ মোবাইল কোর্টকে সহযোগিতা করেন।