1. admin@dailymirrorofbangladesh.com : mirror :
  2. mstmomtazbegum32@gmail.com : MD Arman : MD Arman
  3. mamun.cou16@gmail.com : Mamun : Mamun
  4. m.sohag21st@gmail.com : Sohag Shah : Sohag Shah
  5. shiblyhasan1212@gmail.com : shibly hasan : shibly hasan
  6. mohiuddinahmadtanveer@gmail.com : Mohiuddin Ahmad Tanveer : Mohiuddin Ahmad Tanveer
কুমারখালীতে ওসি’র মানবতায় রক্ষা পেল কিশোর,  » দ্যা মিরর অব বাংলাদেশ
২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| বুধবার| সকাল ১০:২৬|

কুমারখালীতে ওসি’র মানবতায় রক্ষা পেল কিশোর, 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২
  • ১৭ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে
oc kumarkhali

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদারের মানবতায় রক্ষা পেলো কিশোর আশিক (১৬)।

কুমারখালী থানায় কিশোরের বিরুদ্ধে শিশু গুমের মামলা দায়ের হলেও অভিযুক্তকে আটক না করে আধুনিক প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে উদ্ধার করেছেন লুকিয়ে থাকা শিশুকে। ৩২ দিন পর মঙ্গলবার উদ্ধারকৃত শিশুকে তার পরিবারের কাছে বুঝে দেয়া হয়েছে।

 

এলাকাবাসী জানান, গত জুলাই মাসের ২২ তারিখে কুমারখালী বাটিকামারা গ্রামে বসবাসরত হাসিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুদ্দিন এর ছোট ছেলেকে তার বড় ছেলে মারপিট করায় ছোট ছেলে তৌফিক (১০) বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

 

এই ঘটনায় নুরুদ্দিন মাস্টার বাটিকামারা গ্রামের বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞেস করেন কেউ তার ছেলেকে দেখেছে কিনা? আশিক নামের কিশোর তাকে জানায় সন্ধ্যার পর তৌফিককে সে কুমারখালী রেলওয়ে প্লাটফর্মে বসে থাকতে দেখেছে।

 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরুদ্দিন মাস্টার আশিককে চাপ সৃষ্টি করে তার ছেলেকে ফেরত দেবার জন্য। এক পর্যায়ে নুরুদ্দিন মাস্টার কুমারখালী থানায় আশিকের বিরুদ্ধে মামলা দিতে গেলে ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

 

কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হননা নুরুদ্দিন মাস্টার তিনি কুষ্টিয়া র‍্যাব- ১২ তে অভিযোগ দেন। তারা খোঁজখবর নিয়ে আশিকসহ তাদের সহপাঠীদের বাড়ি থেকে কোথাও যেতে নিষেধ করেন। এরই মধ্যে নুরুদ্দিন মাস্টার বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে কুমারখালী থানায় কিশোর আশিককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

 

এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম। সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম ওসির নির্দেশে একাধিকবার খোঁজখবর নিয়ে তৌফিককে গুমের সত্যতা না পাওয়ায় আসামী আটক না করে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন লুকিয়ে থাকা শিশুকে উদ্ধার করার জন্য। অবশেষে পঞ্চগড় থেকে শিশু তৌফিককে উদ্ধার করে মঙ্গলবার তার পরিবারের কাছে বুঝে দেয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, শুরু থেকেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম শিশুটি বাড়ি থেকে পালিয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের চাপে শেষ পর্যন্ত মামলা নিতে হয়েছে।

 

একজন কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ওকে আটক করলে আতংকগ্রস্থ হয়ে ওর জীবনের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে এই আশংকায় ওকে আটক না করে ২৪ ঘন্টা নজরদারিতে রাখা হয়েছিলো।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অত্যন্ত সিনসিয়ার অফিসার সে অনেক কষ্ট করেছে লুকিয়ে থাকা শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য। শেষ পর্যন্ত আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করেছি এবং তার পরিবারের কাছে বুঝে দেয়া হয়েছে।

 

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © THE MIRROR OF BANGLADESH 2024