ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদ হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়েরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেটকে বাধা সৃষ্টি করেছে পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে পরিবার আপত্তি জানায়।
নিহত হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের আহমদ কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি হাফেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন।
জুবায়েরের বাবা কামাল উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্ট বিকালে রাজধানীর খিলগাঁও চৌরাস্তায় আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল আমার ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের আহমদ। এ সময় পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হয়। তার পেটে গুলি লেগেছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। এটা সবাই জানে। ঘটনাটি তদন্ত করলে এবং ওই সব এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলেই বিষয়টি জানা যাবে। পুলিশের গুলিতে জুবায়ের নিহত হয়েছে এটা পরিষ্কার। আমার ছেলের মরদেহ উত্তোলন করতে চাই না এবং ময়নাতদন্ত করার দরকার নেই বলে মনে করি। এজন্য মরদেহ উত্তোলন করতে দিইনি।
কামাল উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের হত্যায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় বলে জানান।
দায়িত্বরত কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদিত্য পাল বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জুবায়ের আহমেদের মরদেহ উত্তোলনের জন্য কবরস্থানে এসেছিলাম। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ায় মরদেহ উত্তোলন করা হয়নি। বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে।