কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কলেজ শিক্ষকের বাড়িতে এনজিওর অফিস ভাড়া নিয়ে এবং কলেজ শিক্ষকের সুপারিশে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবারের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে পল্লী প্রগতি সহায়ক নামের এনজিও।
কুমারখালীর বিভিন্ন গ্রামের গ্রাহকরা মঙ্গলবার সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা গ্রামে কলেজ শিক্ষক মজিদের বাড়িতে ঋন নিতে এসে অফিস তালাবদ্ধ দেখে দিশেহারা হয়ে কলেজ শিক্ষকের কাছে গেলে তিনিও তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী মাহফুজ, বর্ষা খাতুন, রিনা খাতুন ও রুহুল আমিন সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ২ দিন আগে কয়েকজন ব্যক্তি তাদেরকে জানান, কুমারখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের পরিসংখ্যান বিষয়ের শিক্ষক আব্দুল মজিদের বাড়িতে তারা পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতি নামে এনজিও’ র অফিস ভাড়া নিয়েছেন।
যার রেজিষ্ট্রেশন নং ৫৮৯২২(৯২৮) ০৫। এবং তারা বাসা ভাড়া বাবদ মজিদকে দেড় লাখ টাকা অগ্রীম দিয়েছেন। কুমারখালীর প্রতিটি গ্রামে সমিতি করে সভানেত্রীকে পনের শত টাকা এবং তার সহযোগী দুজনকে ৭৫০ টাকা মাসে প্রদানের মাধ্যমে সমিতির কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান তারা।
এবং ২ বছর মেয়াদে সহজ শর্তে ৫০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করার আশ্বাস দেন। বিনিময়ে ঋন তুলতে ৫০ হাজারে ৫ হাজার এমনিভাবে আড়াই লাখ টাকা ঋণ দিতে ২৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে বলে তারা জানান। গ্রাহকদের তারা অফিসে আমন্ত্রণ জানালে তারা এসে কলেজ শিক্ষক আব্দুল মজিদের সাথে কথা বললে তিনি সবাইকে টাকা জমা দিতে বলেন।
তার প্রেক্ষিতে প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাহক ৫০০ টাকা ঋন ফর্ম বাবদ এবং ঋণ পেতে সঞ্চয় বাবদ ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা সব মিলিয়ে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা জমা দিয়ে মঙ্গলবার ঋণ নিতে এসে অফিস তালাবদ্ধ দেখতে পান। এসময় কলেজ শিক্ষকের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিলে বাধ্য হয়ে গ্রাহকরা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, অভিযোগ পেয়েছি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।