প্রকৌশল অফিস ভাঙচুর ও তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (সিভিল) সঙ্গে এক ছাত্রীর আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায়।
১৯ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও অভিযুক্ত প্রকৌশলীর বিচার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ‘ইবির নিউজ’ নামক একটি আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সঙ্গে ছাত্রীর ফোনালাপ ফাঁস হয়। এ ঘট’নায় শিক্ষার্থীরা অভি’যুক্ত কর্ম’কর্তার বিচার চেয়ে সকা’ল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৌ’শল ভব’নের সামনে অব’স্থান নেন।
পরে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ করে তার রুম ভাঙচুর করেন। এ ছাড়াও প্রকৌশলী অফিসে তালা দেন তারা। একই দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ওই কর্মকর্তার বিচার চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে প্রকৌশলী ছাত্রীকে চাকরির প্রলোভন ও খুশি করার মতো ছবি চাওয়াসহ বিভিন্ন কথোপকথনের উল্লেখ ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সঙ্গে ছাত্রীর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের জন্য বিব্রতকর। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট হয়েছে। তাই টুটুলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে বলে স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেছেন।
আমার অফিসের এক কর্মকর্তার অডিও ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আমার রুমে এসে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই কর্মকর্তার বিচার দাবি করে। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমার রুমের আলমারির কাচ ভাঙচুর করে বেরিয়ে যায়। এ ছাড়াও অফিসের নিচে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। ফলে আমি অবরুদ্ধ হয়ে যাই। বিষয়টি আমি উপাচার্য ও পুলিশকে তাৎক্ষণিক অবহিত করি। প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন। তিনি আরও জানান পুরো ঘটনার বিবরণসহ প্রকৌশল অফিসকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক।
আমিও বিষয়টি বুঝিনি, কেন তারা তার কক্ষ ভাঙচুর করেছে। তবে সব বিষয়ে আমরা তদন্ত করব বলে জানান প্রধান প্রকৌশলীর রুম ভাঙচুরের ঘটনায়।