ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। ম্যাচের ২৯ মিনিটে অলগা কারামোনার গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। সেই গোলই তাদের এনে দিলো শিরোপা।
স্পেনের মতো ইংল্যান্ডের মেয়েদেরও এটি প্রথম ফাইনাল ছিলো। ১৯৬৬ সালে ছেলেদের বিশ্বকাপে শিরোপা জেতা ইল্যাংন্ড এবার লম্বা সময় শিরোপা খরা কাটানোর সুযোগ হিসেবে দেখছিলো। কিন্তু সে গুড়ে বালি। স্পেনের মেয়েদের রক্ষণ দেয়ালের দৃঢ়তায় হতাশ হতে হয়েছে ইংল্যান্ডে মেয়েদের।
খেলা শুরুর ১৬ মিনিটে ইংল্যান্ডের লরেন হেম্প বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শট নেন, বল লাগে ক্রসবারে। ম্যাচ আধঘণ্টা ছোঁয়ার ঠিক আগে প্রথম করে স্পেন।
ব্রোঞ্জ বল হারালে পেয়ে যান ভিলদা, তার বাড়ানো ক্রসে মারিয়ানো কালদেনতির ছোট পাস ধরে গোল করেন অধিনায়ক অলগা কারামোনা। ২৯ মিনিটে লিড পায় স্পেন।
২৩ বছর ৬৯ দিন বয়সে গোল করে কারামোনা মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালের চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হন এবং ২০২২ সালে অ্যালেক্স মর্গানের পর সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে স্পেনকে এগিয়ে যেতে দেননি ইংলিশ গোলকিপার ইয়ার্পস। দুর্দান্ত সেভে কালদেন্তিকে রুখে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর হেম্প গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে বল মেরে ইংল্যান্ডকে হতাশ করেন।
স্পেন ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে। ৬৪ মিনিটে তারা বক্সের মধ্যে ওয়ালশের হ্যান্ডবলের আবেদন করে।
ভিএআরে চার মিনিট পর পেনাল্টির রায় দেন রেফারি। জেনিফার হারমোসো নেন পেনাল্টি কিক। তার শটের গতিপথ ঠিক বুঝতে পেরে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বল ঠেকান ইয়ার্পস।
৯০ মিনিট পর্যন্ত স্পেনই এগিয়ে ছিলো। ইংল্যান্ড বেশ সময় পায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময় নেওয়ায়। ইনজুরি টাইম দেয়া হয় ১৩ মিনিট। তবে ভাগ্য পাল্টাতে পারেনি ইংল্যান্ড। একেবারে শেষ দিকে দারুণ রক্ষণশৈলী নৈপুণ্যে মিলি ব্রাইটের প্রচেষ্টা রুখে দেয় স্পেন। তারপরই কর্নার পায় ইংলিশরা। সমতা ফেরানোর শেষ সুযোগ নষ্ট করে দেন স্প্যানিশ কিপার কাতা কোল। এই সময়ই বেজে ওঠে রেফারির বাঁশি। প্রথমবার বিশ্ব জয়ের উদযাপনে মেতে ওঠে স্পেন।