ইসলামে নিয়তের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। নিয়তে বিশুদ্ধতা না থাকলে ভালো কাজেরও কোনো মূল্য নেই। নিয়ত হচ্ছে মনের একান্ত ইচ্ছা বা সংকল্প। মানুষের মনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আর ইসলামে বিশুদ্ধ নিয়ত হচ্ছে, একনিষ্ঠার সঙ্গে শুধু মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমল বা কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করা।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক কাজের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। নিশ্চয় মানুষের জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়ত করে (সহিহ বুখারি : ১)
রমজানের ফরজ রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা ও নফল রোজার নিয়ত সুবহে সাদিকের আগে করতে না পারলে দ্বি-প্রহরের আগ পর্যন্ত নিয়ত করার অবকাশ আছে। তবে দ্বি-প্রহরের পরে নিয়ত করলে হবে না। অর্থাৎ দ্বি-প্রহরের পর নিয়ত করলে রোজা আদায় হবে না। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা : ৩৯৩)
অনেকে মনে করেন, রোজার নিয়ত মুখে করতে হয়। সমাজে যে আরবি নিয়ত প্রচলিত আছে তা বলতে হয়, নইলে কমপক্ষে মুখে এতটুকু বলতে হয় যে, আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করছি। এমন ধারণা সঠিক নয়। কারণ রোজার জন্য মৌখিক নিয়ত জরুরি নয়; বরং অন্তরে রোজার সংকল্প করাই যথেষ্ট। এমনকি রোজার উদ্দেশ্যে সাহরি খেলেই রোজার নিয়ত হয়ে যায়। সুতরাং এ কথা ভাবার কোনো সুযোগ নেই যে, মুখে রোজার নিয়ত না করলে রোজা হবে না।
অনেকে মনে করেন, রোজার জন্য আরবিতে উচ্চারণ করতে হবে। আরবিতে উচ্চারণ না করলে রোজা হবে না। কথাটি ভুল। রোজার জন্য আরবিতে উচ্চারণ করে নিয়ত করা শর্ত নয়। যে কোনো ভাষায় নিয়ত করা যাবে। অন্তরে রোজা রাখার সংকল্প থাকায় যথেষ্ট।