অসুস্থ নবজাতক ছেলেকে কীর্তনখোলা নদীর তীরে ফেলে গেছেন স্বজনরা। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নবজাতককে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নগরীর চাঁদমারী এলাকাধীন কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী সিঙারা পয়েন্টে। শিশুটি বর্তমানে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বরিশাল জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মডেল থানার ওসি জানান, নবজাতককে একটি তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়া হয়। এ সময় সঙ্গে একটি ঝুড়ি ও বাচ্চার দুধ খাওয়ানোর একটি ফিডার পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নবজাতকের অভিভাবক খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে ওই এলাকায় নবজাতককে দেখতে পান রুহুল আমিন নামে একজন ব্যক্তি। পরে শিশুটিকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানকার চিকিৎসক জানান পিঠ ও পায়ের গঠন দেখে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি প্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণেই হয়তো নবজাতককে রাস্তায় ফেলে গেছেন স্বজনরা। উন্নত চিকিৎসার মধ্যদিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে বরিশাল জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের বিষয়ে গতকাল রোববার জানতে পেরেছি। শিশুটি বর্তমানে শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নবজাতকের পিঠে বড় আকারের একটি টিউমার রয়েছে। আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে টিউমার অপারেশন করতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে তার চিকিৎসাসহ সার্বিক সহায়তা করা হবে।