সম্প্রতি প্রথম আলো পত্রিকার একটি চিত্র ও ডায়ালগ নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। প্রথম আলো পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর সামনে একটি শিশু বাচ্চার ছবি তুলেন৷ সে পর্যন্ত ঠিকই ছিলো৷
কিন্তু তিনি শিশুটির একটি উক্তি তুলে ধরেন সেখানে লেখা ছিলো, “পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব”।
কিন্তু এই কথাগুলো ছিলো সাংবাদিক শামসুজ্জামান এর। তিনি নিজেই তার কথাগুলো বলতে পারতেন তাতে কোনো রকম সমস্যা ছিলোনা৷ কারণ তার কথাগুলো আক্ষরিক অর্থে যুক্তিযুক্ত। কিন্তু তিনি ১০ টাকার বিনিময়ে তার কথাগুলো একজন শিশুর মুখ দিয়ে উচ্চারণ করালেন যেটি অপরাধের শামিল বলে বিবেচিত৷
জনাব শামসুজ্জামান খুব চতুরতার আশ্রয় নিয়েছিলেন। প্রথমত তিনি জানতেন একজন ফুল বিক্রেতা শিশুর মুখে এমন সাহসী কথা বেশ ভাইরাল হবে৷ কিন্তু তিনি এটি কেনো বুঝতে পারলেন না, ১০ বছর বয়সী বাচ্চার মুখে অমন কথা আবেগীরা আবেগ দিয়ে খেয়ে ফেললেও সচেতনগণ ঠিকই সন্দেহ করবে। বয়সের তুলনায় কথার ভার,ওজন কয়েকমন বেশি হয়ে গেলোনা? তিনি কৌশল করে শিশুটির নাম ও পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন যাতে তার এই কারচুপি ধরা না পড়ে।
তিনি মনে করেছিলেন ভ্রাম্যমান পথশিশু গুলো একেক জায়গা থেকে আসে এদের কে আর খুঁজে পাওয়া যাবেনা। কিন্তু ঘটনা তো উল্টো হয়ে গেলো! দেখাগুলো শিশুটি কে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে এবং সত্য অনুসন্ধান করে বের করা গিয়েছে। এমন ধরনের মিথ্যা তথ্য হয়তো প্রথম আলো নামে বে-নামে অহরহ করেই থাকে তবে কথায় আছে ‘চোরের দশদিন তো গৃহস্থের একদিন’
কিছু সাংবাদিকগণ সংবাদমাধ্যম কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কিন্তু কথা ছিলো সমাজের আলোকবাতি হিসেবে ব্যবহার করার! তারই এক জীবন্ত প্রামাণ্য দলিল পেলাম জনাব শামসুজ্জামান এর কাছ থেকে।
সাংবাদিকগণ সবশ্রেণীর মানুষের চাঁদাবাজি তুলে ধরেন কিন্তু কিছু সাংবাদিক এর করা চাঁদাবাজি,জিম্মিবাজীর কথা তুলে ধরবে কে??? এতোদিন তুলে ধরার কেউ ছিলোনা। কিন্তু এখন সাংবাদিকই অপর সাংবাদিক এর পাপকর্ম তুলে ধরছে এই এই দশকের সবচেয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন!